তৃণমূল বিজেপি সংঘর্ষে উত্তপ্ত , ব‍্যাপক উত্তেজনা এলাকায় : ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশ বাহিনী

29th March 2021 10:49 pm বাঁকুড়া
তৃণমূল বিজেপি সংঘর্ষে উত্তপ্ত , ব‍্যাপক উত্তেজনা এলাকায় : ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশ বাহিনী


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) :  ভোট-পরবর্তী হিংসায় উত্তপ্ত বাঁকুড়ার মেজিয়া,তৃণমূল কর্মীর পেটে ঢুকল রড, ঘটনায় অভিযুক্ত বিজেপি।গোটা এলাকায় চলছে পুলিশি টহল।

ঘটনার সূত্রপাত মেজিয়ার তারাপুর গ্রাম।আজ দুপুরে এই গ্রামে বিজেপি সমর্থিত দুই জনের সাথে স্থানীয় তৃণমূল নেতা রবি লোচন গোপের বচসা বাধে । সেই বচসা থেকে শুরু হয় হাতাহাতিতে । অভিযোগ বিজেপির ওই দুই কর্মীকে বেধড়ক মারধর করে তৃণমূল কর্মীরা। তারপর এই তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব। বিজেপি কর্মীদের অভিযোগ পুলিশ অভিযোগ নিলেও এই ঘটনায় অভিযুক্ত কোন তৃণমূল নেতৃত্ব কে গ্রেপ্তার করেনি। এর পরিপ্রেক্ষিতে মেজিয়া থানার গেটের সামনে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপির অগণিত কর্মী ও সমর্থকরা। সেই সময় হঠাৎই তৃণমূলের শতাধিক কর্মী থানার গেটের সামনে আসতেই দুই পক্ষের মধ্যে শুরু হয় ইট বৃষ্টি। ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশবাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এর পরপরই এক তৃণমূল কর্মীর পেটে লোহার রড ঢুকিয়ে  চড়াও  হওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিজেপির বিরুদ্ধে। সেই লোহার রডে তৃণমূল কর্মী বনমালী গোপ গুরুতরভাবে আহত হন। তাকে মিজিয়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করেন। যদিও দু'পক্ষই নিজেদের বিরুদ্ধে সমস্ত ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গোটা মেজিয়া বাজার এলাকায় চলছে পুলিশের টহলদারি।





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।